সোমবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০০৯

ছেলে

জীবন অস্তব্যস্ত অস্থির নষ্ট করে
অধরা সে অন্তর ছুঁতে গেলে
ফেলে –
ধরে রাখা আহ্লাদের ঝুঁটি।
কীজানি তা কী করে হল বিপদ।
বিপদকে ‘বিনয়’ দেখেছিলে,
বিপদকে দেখেছিলে ‘বাঁধন’।
তা ছিল শনির বলয়,
ঘিরে থাকা নরম, শান্ত, হলুদ আলো।
অথবা
তা ছিল ভোরবেলাকার
প্রথম ছোঁয়া কাগজের প্রধান কটা লাইন।
গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে বিপদ
শীতসকালের কানঢাকা টুপির আড়ালে।
কাঙাল তুমি, হাভাত তুমি
ভাবলে –
কুয়াশায় আকাশ ক্লান্ত যদি,
বৃষ্টি হবে জোর।
আর বেড়াল থাবায় দিব্যি তুমি
উঠিয়ে নেবে ভোর।
বাঃ –
বৃষ্টি হল, মেঘও হল
ক্লান্ত আকাশ শ্বাস ছড়ালো,
কুটোর মত উড়িয়ে নিল ‘কোল’
তোমায় ভালবাসার, পূজ্যস্নেহ-র
তোমার শিশুবযস, কিশোর সকাল
স - ব
মাঠ ডিঙিযে, ঘাট ডিঙিযে
উধাও নিরুপায়।
এবার তুমি খুঁজছো –
খুঁজছো টিনের চালার তলায়,
খুঁজছো আমবাগান জুড়ে
খুঁজছো নদীর কিনার ধরে
রেখার মত ঘাসের জমির বর্ডার
যেমন মনের মধ্যে
‘ভালবেসে সখী নিভৃত যতনে...........'

বাঁচাকে দাও বিপদ
আর জীবন লালু-ভুলু
এই হিসেব কী মেলে?
হযতো মেলে,
হযতো তুমি সেই কারণেই ‘ছেলে।‘


আমিও পারি

‘তার বিদায়বেলার মালাখানি
আমার গলে দোলে
বুকের পরে ক্ষণে-ক্ষণে রে.....’

তোমার এ’ গান ভালবেসেছি এতই
এতই টেনেছি কাছে –
বাস্তব বন্দুক বোধহয
ফুটো করে দিল বুক-
তাই -

চুঁইয়ে পড়া ব্যাথায় গাঁথা মালা
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরছে গা।
ঘেন্না ঘেন্না কেন্নো যেন।
দম নেবার সাধ্যি নেই.
দম দিতে বাঁচছি অথচ।
আমার ফুঁ-এর হল্কা এখন তাতাপোডা
তা’তেও হবে বেশ।
কারণ -
নষ্ট সময় পেরোতে গিয়ে,
আত্মদম খালি করেছে সে।
কি মন্দ কিংবা ভাল
তার হিসেব দিব্য বোঝে
পেলে খাদ্য ভাল ভাল।

দমহারানো নিত্যনতুন
সকালবিহীন অন্তর্লোক
কি দিচ্ছে?
দিচ্ছে অসুখ গাঢ়।
লগি ঠেলে এরপরও কি
পার হওয়া যায় নদী?
যে নদীতে হাঙর-কুমীর-কামট?

যাই বয়ে যাই তরী,
জানি পার হওয়া যায় যদি,
হাঙর-কুমীর-কামটদেরও
খাদ্য করতে পারি।