বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০০৯

কোল পেতেছি- শো


যতদিন অচেনা ছিল সে,
সুখেই ছিলি তুই।
নে স্বাদ নে সেই দিনটার আজ।
শিশুসময় কি দিয়েছে, কিশোরীকাল,
যৌবন ভরা কোটাল ছিল কি না
তার খাঁজ-ভাঁজ-আড়াল
খুব দরকার জানার?
যদি মুচমুচ করে ভেঙে গুঁড়িয়ে পড়ে,
কি হবে তখন?
অনেকদিনের না খোলা তোরঙ্গের তলা খুঁজে
পেয়ে যাওয়া জাঁতি, পাঁজী
অথবা ব্রতকথা যেমন।

আজকের ভাঙন ভুলতে চাস্ তো,
পিছনের থেকে মুখ ফেরা।
কোল পেতেছি মেয়ে
আয় শো।
গ্লোবালাইজেশনের হাওয়া মাখছিস্ গায়
আর একার পৃথিবী
আরো একায় নেবেনা তোকে,
তা কখনো হয?
সুর সাধলি, গান বাঁধলি,
উড়াল নিলি আকাশ আঙিনায়
আর ক্ষত বইবি না বুকে
তা কি করে হয়?
পিছন ভুলে সামনে তাকা মেয়ে
হাত বুলিয়ে দিই ভাঙাচোরায়,
আয় কাছে আয়
ঘুমো রে তুই
কোল পেতেছি,
শো।

বুধবার, ৬ মে, ২০০৯

থাকবে তো?

জেগে ওঠে গান, ফাগুন, আকাশ,
আমার স্বপ্ন যখন দু’চোখ ছুঁয়ে নামে।
স্বপ্ন মানে কি?
ও তো অধরা আদর।
আমার বাগানে কচি ধানের চারা হাওয়ায় দোলে,
বুকের অলিগলিতে শামুক-গুগলী ঘোরে
ঘোর লাগে বাঁচায়, ভয়ও ওড়ে।
বানে ভাসবে না তো বাগান?
টিপ পরেছে বাড়ী-
দূর আকাশ থেকে নেমে।
এক থোকা টুকটুক শিমুল ভিজছে আলোয়
আসলামদের চালের পিছন থেকে
উঁকি দিচ্ছে, নজর নিচ্ছে-
আনন্দের আকুতি আড়ালে
‘ফুলে-ফুলে, ঢলে-ঢলে।’
ও কি প্রোভোকেশন না জোর হাওয়া?
ঝড়ে ভাঙবে না তো নীড়?
স্বপ্ন, সব স্বপ্ন
থাকবে তো?

মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০০৯

সুখ সাজানো দিন

তৃষ্ণা দিয়েছো, অথচ তৃপ্তি
সুদূর-সুদূর, ধুধু মরুর মতন।
আঁধার আকাশে আনন্দ রাঙা আলোকের
তা কেন দাওনি,
সোহাগে সাজোনি কেন?
ইচ্ছেরা সব বাসাভাঙা
ঝড়ে উপড়ানো ডালপালা,
ওখানেই তুমি থামাতে
আমাকে পারবে ভেবেছো?
না, না।
হৃদয়ের পাশে যেখানে আলোক ছিল,
কন্ঠনালীর যেখান তৃষ্ণাহারা
অপরিমেয় অপমান অহনার
স্ফুর্তি-পুর্তি ভরিযেছে সেই স্থান।
আর সে চায়না কারুর দযার দান
থামবে না জেনো এই বাবুলীর গান।

বিশ্বাস বুকে বাবুলী দীর্ঘ হাঁটে।
বাবুলীর গানে আকাশ আত্মহারা।
বাবুলী পোষাকী, বাবুলী সৃজনরোয়া।
বাবুলীর খোপে একশোটা লেনাদেনা।
স্বজন-কুজন সোহাগ সাজানো দিনে,
সম্ভবীকথা আজ বোনে ক্ষণ আলোর।
বাবুলী বিপুল, ব্যপ্ত ও ভরাবুক
বাবুলী বুঝেছে আত্মসুখের মানে।

‘মেঘ’ ও ‘বুলবুল’-এর স্ক্র্যাপকাব্য

‘মেঘ’- নিজনাম না জানানো এক সৃষ্টিমুখর কন্যা।
‘বুলবুল’- নাম জানানো অখ্যাত এক সৃজনপ্রেমী কন্যা।


‘মেঘ’ 16.03.09
জলে ভিজে এনেছি নিজের একমুঠি মেঘ,
সে তোমার জন্য।

বলো তো আমার সঙ্গে,
এভাবে আমার সঙ্গে উড়ে খুশি?
তুমি খুশি? বলো, খুশি?
………………….
‘বুলবুল’ 16.03.09

মেঘের গায়ে
জড়িয়ে আছে
ভোরবেলাকার আলোক।
ভেজা-ভেজা তার চোখ
শিশিরের মত মৃদু।
জুঁই-এর গন্ধ মাখা
তার আলাপন কথা
দূরের থেকে জানায়,
‘আয় উড়াল নিবি আয়।‘
বুলবুলেরও আকাশটাই তো বাড়ী
বুলবুলেরও মেঘজড়ানো বিকেল।
বুলবুল তাই মেঘের আমণ্ত্রণে
বৃষ্টিধোযা সকাল খুঁজতে এলেম।
…………………………..
‘মেঘ’ 17.03.09
মেঘের টানে আকাশে আজ ভাসিয়ে রঙিন ভেলা

যাচ্ছো বুঝি মেঘের দেশে আমায় করে হেলা!
…………………….
‘বুলবুল’ 09.04.09

হায় রে মেঘ,
কোথায় গেলি উড়ে?
বাদল আকাশ নয়
যে যাবি যক্ষপুরী।
জানি, ও মেঘ জানি
তোর ব্যথা বক্ষ জুড়ে।
বুলবুলি ঐ শীষ দিচ্ছে ডালে
তার ঠোঁটের আগায় ঘর বাঁধবার কুটো।
পাখীর ডানায় দেখ
ঐ নামছে ভোর
তার তাপের খরা ভুলে
নে রুপালী রং তুলে।
তোর জুড়াবে ঠিক বুক
তোর মন ওঠাবেই সুখ।
…………………..
‘মেঘ’ 12.04.09
বাহ্ রে বাহ !
বুলবুলের ডাকে চুপ থাকি আমি,
কি করে? এই তো আমি
এই তো আমি -
এসেছি যে।
…........
‘বুলবুল’ 15.04.09 ১৪১৬-য় পাঠানো নববর্ষের শুভেচ্ছা

আলতো আলোর সুখ সাজিয়ে
নামছে নতুন দিনের মাঝে
ভোর, আগামী দিন।
তোমার উন্মুখ মন ভরুক
ঘিরুক আদর অনুক্ষণ
খোলো দোর, বাজছে বীন।
……………………..
‘মেঘ’ 28.04.09
স্বপ্নে পেরোচ্ছি ভিজে আলপথ,

ঘাসে ডুবিয়ে পা হেঁটে যাচ্ছি করতোয়ার দিকে,
কত আর পোড়াবে, কতটাই পারবে বলো।
নদীর ধারে আমি এসে দাঁড়ালে
তুমি কিছুতেই না এসে পারবে কি
বুলবুল?
………….
‘বুলবুল’28.04.09

পোড়াবার মত বারুদ ভিতরে মজুদ
এ’ বারুদে ঝাঁজ বিচ্ছিরী তাতাপোড়া।
কিন্তু নদীর জল বা আলের পথে
যে সাজে সেজেছো ‘মেঘ’ কবিতার সাথে,
পেরোবে কি করে ‘বুলবুল’ তা জানেনা।
কুর্নিশ-গান পারলো কি পৌঁছেতে?

Megh আমাকে 29.04.09
কাল শুনেছিলাম মেঘের কলকাতা পৌঁছাবার সংবাদ

আজ এখনো কিছু জানলাম না।
কাল শুনেছিলাম আজ কলকাতা বৃষ্টিস্নান করবে,
শুনে আনন্দ হলো,
ভাবলাম কলকাতা যদি বৃষ্টিতে ভেজে
আমরা না হয় তার কিছুটা ঠান্ডা হাওয়া অন্তত পাবো।
সেই বা কম কি।
আজ কতটা কি হলো কিছুই জানি না।
মেঘ কিম্বা বৃষ্টি,বৃষ্টি কিম্বা মেঘ
কে কতটা ছলচাতুরী শিখেছে ভেবে পাইনা!
29.04.09 Bulbul to Megh
আমরা বোধহয় ছলচাতুরী বুঝি,
চালাকীতেই চলি,
এই সময়ের মাপে।
তাই উধাও স-ব, সব্বাই।
তাই আসবো বলেও বৃষ্টি আসেনা।
লালচে রঙা সম্ভাবনা জাগিয়ে,
উড়ে যায় মেঘ অজানা দিশায়।
আশার শিখাকেও ফুঁ দিয়ে যায় নিভিয়ে।
আমাদের বুকে ঢেকেঢুকে রাখা
গোপন-গোপন নীল বদমাইশী
আর ছলনা
ওরা কি টের পেয়ে গেছে?
‘উতল-ধারা বাদল ঝরে
সকল বেলা একা ঘরে।.......’
এ’ গানে ভাসবার আরাম কি
সহজে পাব না আমরা
‘মেঘ’?
Megh আমাকে ৩০.০৪.০৯
যন্ত্রজীবন কাটাবে, যন্ত্রের মতো থাকবে

গোলা বারুদ বুকে পুরে সংসার ধর্ম করবে
ভালোবাসবে মেপে মেপে-
দিনান্তে হিসেব কষবে কতটা লাভ ক্ষতি হলো প্রাত্যহিকতায়
সাথে গানে ভাসবার আরাম চাইবে
বৃষ্টিতে ভিজতে চাইবে
আবেগ নিয়ে ভালোবাসবে
কান্নায় ভাসবে-

সে ও কি হয় !
গলা চিপে ধরবে ওরা
শ্বাসরোধ করে মারবে
এক চিলতে আলো
তোমার দুচোখে পড়তে দেবেনা।

হায়রে ভালো থাকা
হায় রে নগর সভ্যতা!
বুলবুলের কাছে মেঘের পাঠানো বার্তায়
বিশ্বের কোথাও কিছু আসবে যাবে না।
৩০.০৪.০৯ Bulbul to Megh
না আসুক ‘মেঘ’ কিছু কারুর,
না ভাসুক ভেলা নদীজলে।
এই অকারণ কথা তবু
নাচবে তাথৈ হৃদিতলে।

ভুল হয়ে গেছে জীবনে অনেক
কোথায় পালাবো তা ফেলে?
মেনেই নিয়েছি অসুখের সাথে
কাটাবো এ’দিন ধুলো খেলে।

যে নগর বাঁচে অনিশ্চয়ের,
অবিশ্বাসের গান গলে'
ছাড়তে পারেনা ‘বুলবুল’ তাকে
আদরে বেড়েছে তারই কোলে।
>>>>>>>>>>>>>>>>
……………………………

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০০৯

স্মৃতি, তোকে যাব নিয়ে love-পুরে।



স্মৃতি,
তুমি সুখের সঙ্গে থাকো
স্মৃতি,
আমার গায়ে বড্ড জ্বালা
স্মৃতি,
আমার এলোঝেলো বুকে
শিকড়,
নেমে যাচ্ছে অনেকদূর,
স্মৃতি,
আমার বাঁচার সাধ বড়
স্মৃতি,
আমায যাও নিযে love-পুরে।

উটকপালী ভূতকপালী স্মৃতির ঘরে জল,
জল থৈ-থৈ আগুন তবু দুঃখে কি লাভ বল।
আমার স্মৃতি আমার সাথী আমার দুঃখদিন,
আমার সিধে থাকার ঘরে ভূত মেরেছে ঢিল।
জড়িয়ে যাচ্ছে কলমীলতা স্মৃতিরা কোন ঘরে?
সাপ দেখেছো, কলমীলতার গায়েই লেপ্টে থাকে।
আমার বুকে কি উত্তাপে বিড়াল ডাকে মিঁউ,
স্মৃতি আমায দাওনা দিযে আকাশজোড়া ঠেউ।

স্মৃতি,
তোর কেলে ঠেউ-এর দোলে,
উজান
স্রোতে আসুক গোধূলী নেমে,
স্মৃতি,
যদি জীবন আগুন মুছে
বিকেল,
কড়া নাড়ার শব্দ শোনে
স্মৃতি,
তুই দরজা দু’হাট খোল,
স্মৃতি,
তোকে যাব নিয়ে love-পুরে।

দিলদরিয়া আকাশ বুকেও আশ্বাস নেই বড়।
ছোট্ট ছোট্ট স্বপ্ন-সত্যি-ইচ্ছে করছি জড়ো।
হয়তো সাপে বিষ নামাবে থাকবে না পায় ভুঁই,
কিংবা …………………….
‘আকাশ আমায় ভরলো আলোয়’, আঁচল পেতে শুই।

সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০০৯

মজা নিত্ক শেখ


রাখ্ খুলে তোর ভেক চাঁদু
রাখ্ খুলে ভেক
শরম ভুলে আয় হাঁদু
আয় ফুর্তির ঠেক

দিস্ নাকো চেক ন্যায্য আবেগ, একবারই হ’ নেক-
মজা নিত্ক শেখ

কষ্ট বুকে চেপ্পে
কাষ্ঠহাসি হাস্সিস
যার সক্কল মেক্কী
বেশক ধোঁক্কা এবং ফাঁক্কী

শোনরে সিনিক জন,
গাল্লাগালও ধন,
অশ্শীলিল ইন্নোভেশন
ছুপ্পে নে তোর মন


খুল্লে গেছে গিঁট

দেখে চোখ যদি পিটপিট্,
গুবগুবগুব ফেল্লি হেসে
এল্লো কাশি ঢিট-

স্ববশ ফেলে হাস
ফুর্তি রোদে ভাস
উল্লাসপুর নয় নয় দূর
পাপবোধকে নাশ

রাখ খুলে ভেক, হাস খুলে তুই, একবারই হ’ নেক
মজা নিত্ক শেখ

দমিয়ে রাখা ইচ্ছেগুলো
চোখের ওপর ওড়ড়ে
আল্লুথালু লজ্জাখাকীর
অর্দ্ধপোষাক পড়ড়ে

বৃদ্ধ-শিশু সক্কলেরই
চিব্বে গেল মাত্থা
পীরিত কামী তরুণ তোরও
প্রেম হারানো বাঁদ্ধা

তাথৈ নাচন নাচ্চে মেয়ে
ছল্লকে বুক জোররে
কাম-বাসনার গিল্ল্যান্ডো
উড় খেয়ালে পোড়ড়ে

দৃষ্টিসুখের উত্সব আজ
ড্যাবড্যেবিযে চাঃ-
স্যুইক-স্যুইক সিট্টি বাজা
ইচ্ছেডানায় যাঃ-

বাপ-পিতেমোর সেদিন অতীত
সক্কলে চুলবুলাই,
তোর আঁতেলী বুদ্ধিতলায়
কামনা খুলবুলাই

দিল লাগিয়ে গার্রে চাঁদু
মিল লাগিয়ে গাঃ
দিশ্শি মজার ঠেক পেয়েছিস
সোজ্জামনে যাঃ

তুল্লে রাখ ও চশমা ভোঁদু
খুল্লে রাখ ও ভেক
মুখোস খুলে দেখ রে হাঁদু
দেখ স্ব-মুখের বেঁক

দিস্ নাকো চেক অন্তর বেগ, একবারই হ’ নেক
মজা নিত্ক শেখ

লোটাকম্বল ব্লগে প্রকাশিত নানান মন্তব্য २१.१.११ থেকে २४.१.११ অবধি

. অতনু ব্যানার্জী- বাবা মঞ্জুদি, এ তো রীতিমতো দরবেশের লিরিক। এতে সুন্দর সুর দিলে সুফী কি বাউল হয়ে যাবে এক্কেবারেই। দারুন লিখেছো...

রোহন কুদ্দুস- দারুণ এবং দারুণ। প্রিয় পোস্ট। আমি ২-৪ জনকে ডেকে পড়ালামও। দারুণ মঞ্জুদি।

রোহন কুদ্দুস- কী করে লিখেছো বলো তো? দারুণ দারুণ।

তিতাস- উরিব্বাশ, আপনার ফ্যান হয়ে গেলাম। অসাধারণ। কবিতাটা বার বার পড়লাম। দারুণ হয়েছে

সুস্মিতা- থাম্বস আপ।

মঞ্জুশী রায়চৌধুরী- আমি রীতিমত অবাক। কি ভয়েভয়ে যে পোস্টটা রেখেছি তা আমিই জানি। আমার নিজের পরিচয় যেভাবে রাখা আর এ' লেখা যে’ রকম তা’তে অসম্ভব চিন্তায় ছিলাম। লিখেছি ক’দিন আগেই.... দিতে পারছিলাম না। এমনসময় হঠাত্ই ডামাডোল, লোটাকম্বল গুরুগম্ভীর। সেই ফাঁকে এটা কিছু হাল্কা আছে দেখে ভাবলাম দিয়ে তো দিই, তারপর নাহয়.....

যাকগে যাক- অতনু, তিতাস, সুস্মিতার ভাল লেগেছে জেনে ও রোহনের দু’দুবার মন্তব্য পেয়ে বেশ জোর পাচ্ছি ভিতরে। এ’ টাইপের লেখার চেষ্টা তা’লে করাই যায় কি বল?

। ঋতুরাজ- ভালো লাগলো-অনেক

কেউ নই- অনেকদিন পরে দুলকি চালে চললাম বেশ খানিকক্ষণ |ভাল লাগলো মঞ্জুদি | থাম্বস আপ |

মেঘ- ভাল্লাগছে আমারও।
१०। মঞ্জুশ্রী- * স্বাগতম ঋতুরাজ। নতুন এসেই আমার পোস্ট পড়লে, ভাল বললে.... আমি খুব খুশী। আবার এসো ভাই।

* ভাই ‘কেউ.....’ আমার পোস্টে তোমার অস্তিত্বের এত সুন্দর স্পষ্ট উপস্থিতি দেখার পরও কি করে ডাকি ও’নামে? কিছু মনে কোরো না প্লীজ..... তুমি তোমার কাছে ‘কেউ নই’ থেকো ভাই, আমার কাছে তুমি ‘কেউ’। ঠিক আছে?

* প্রিয় মেঘ- এত দূর থেকে.... এত আলগোছের কথা? ও..... ধন্যবাদ।

११। মেঘ- কতদূরে আমি! আলগোছের কথাও নয়, যেসময় তোমার লেখাটা পড়ছি, তখন মাইগ্রেনের ব্যথায় শব্দগুলো স্ফুলিঙ্গ হয়ে চোখে আর মাথায় যন্ত্রণা বাড়াচ্ছিল বলেই না অল্পতে সেরেছি। ও ........ টা........কি? ও.........

१२। পিনাকী- ইসস মন্তব্য টা আমার মুছে গেল!!!! ইচ্ছাকৃত নয়, মাউসের গোলমালে। তবে দাবিটা ছাড়চি না!!! ফ্যান হবার জন্য আর একটা বোতাম বানাতেই হবে।

१३। তিতাস- অ্যাঁ, এটা কি হলো মঞ্জুদি, আরামসে বর্বর বলে দিলেন। না হয়, এই শীতের দিনে একটু গা গরম করছিলাম, রোহণের কড়া ধমক খেয়ে হিতোপদেশের সেই পুনর্মূষিক ভব হয়েছি, এবং সে জন্য তো দুঃখপ্রকাশও যথাস্থানে আছে, তাই বলে...

१४।এই তো এইবার পাইসি মেঘ মাইয়ারে স্বরুপে। এ্যাদ্দিন যে আসো নাই তার লইগ্যা কুনো কতাটি নাই যে.... হায়, হায় হায়.... হইল তো হইল মাইগ্রেনের ব্যথা কি না আমারি পোস্ট পইরা... তা হইতেই পারে। মনে লয় এমনতর ল্যাখতে দেইখ্যা মঞ্জুরে চিনতেই পারো নাই.... শব্দগুলান ঐজন্যই ফুটত্যাসিল চোখে। আর 'ও'-টা বুঝো নাই? বেশ বুঝছো.... নাইলে তুমিই বা হাস্যমুখের ছবি টাঙাইয়া 'ও' টা লিখলে ক্যা?

१५। ফাট্টিয়ে লিখেছ০ছ -------- দারুণ-------দারুণ

१६। মঞ্জুশ্রী- খুশী হলাম পম। উল্টোপাল্টা উত্তেজনার মধ্যেও এই হাল্কা লেখা যে তোর ভাল লাগল.... পড়লি.... ব্যস্, আমি তা'তেই খুশী। এখন আমিও খুব তিক্ত অবস্থায়.... কিচ্ছু ভাল্লাগছেনা... পরে কথা হবে।

१७। তিতাস- @মঞ্জুদি, তোমার বকানি খেয়ে চুপ করলাম। এই নাক মলছি, কান মলছি।



শুক্রবার, ১০ এপ্রিল, ২০০৯

খুব জরুরী ছিল


ও নষ্ট লোক
এই জানাটা জানা রেবার
খুব জরুরী ছিল।
পষ্ট বার্তা কষ্ট দিল খুব।
আঁজলা-আঁজলা রক্ত উঠল
যোনী থেকে, বুক থেকে, মুখ হযে ঠোঁটে।
ফের আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে, ঝাঁপিয়ে,
ওর চোখ-মুখ-বুক ভাসিয়ে
উজান ঢলে তা নেমে গেল পা বেয়ে
যোনীপথ এড়িয়ে।
ঐখানেই য়ে নষ্ট লোকটা বসত পেতেছিল।
রেবার আবেগ খেয়ে
বন্ধ বিবেক নিয়ে
কুগন্ধী, কুচক্রী নষ্ট সেইজন
অন্ধকারকে নাকি আলো দেখেছিল।
এই জানাটা জানা রেবার
খুব জরুরী ছিল।
বিষবাষ্প রাখতো বুকে,
স্বজন সেজে নিত্য খেত-শুতো।
বাঁদর নাচন নাচতো
সকাল বাঁশীতে সাজাতো।
আকাশ ঝেঁপে বৃষ্টি এলে
‘মোহনাতে ঘর বাঁধবো’ বলে
বৈঠা উল্টো পিঠে বাইতো।
ও’জন কুজন
সাজানো সুজন,
এই জানাটা জানা রেবার
তাই-
খুব জরুরী ছিল।

রঙ হারানো পাপ

সংগোপনের বার্তা নিয়ে দূরে
ব্যথা তোমার যাচ্ছে কোথায়?
ভীমপলাশী-র কোমল ‘ধা’-য় যে সুর কাঁদে,
তার চেযেও কি দুর্দশা অন্তরে?
হয়তো তাহাই, হয়তো তা নয়
তবু -
আকুল-ব্যাকুল দ্বিধার দোলন
আনন্দকে নিচ্ছে ছিঁড়েখুঁড়ে।
দিন ব্যেপে দিন,
মাপ মত রাত
সব কেন যায় সোনা-
কি তাস দেখ তুমি?
রং হারানো বড্ড যে পাপ
দেখ-
তোমার হাতার আস্তিনেতে
লুকিয়ে আছে সাপ।
কি কি চালের হিসেব বুঝে নেবে
মনস্কতা ধরে,
সে তো তোমার জানা।
একটুখানি আদর-আদর আহ্লাদী আশ্লেষে
যাও পেরিয়ে তেপান্তরের মাঠ।
ঐ দূরেতে দাঁড়িয়ে গোপার মা।
গোপার চুলে হাত ডুবিয়ে
এক হাত রেখে বুকে
স্বর্গ ছোঁয়া মুখে
গান গাইছে গুনগুনিয়ে
কান পেতেছি শুনি,
ভীমপলাশীর ‘ধা’-য়
রং লেগেছে সুখের দ্যোতনায়।
আয় লো পদী ভাবনা কিসের আর-
দ্রিমিক্-দ্রিমিক্ ডম্বরুটা বাজা
এবার জীবনকে তুই মাপ।
আবহ তীব্র উথাল-পাতাল,
সকাল শুধুই স্বর্ণসকাল।
সাপ নেই রে,
নেই সে বদ্ধ জলা।
চতুর্দিকে ছড়িয়ে অপাপ আলো
আবার জীবনকে তুই মাপ
মনে রং হারানো পাপ।

শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০০৯


বুদ্ধু

ঐ গাছেতে গান গাইতো পাখী,
তার ডানায় চড়ে নিরেটবুদ্ধু গেলি সেলিমপুর।
দিচ্ছিলি তুই একটু দানাপানি,
সেই সুখেতে পাখী-
খুশখেয়ালে শিষ বিলাতো,
উড়াল নিত,
আর........
ভাবতো-
বসেছি নিশ্চিন্তির কাঁধে।
হঠাত্ই একদিন-
খেলার ছলে কি খেয়ালে
ছিঁড়লি পাখীর ডানা।

বুদ্ধু নাকি বাঁদর?
ঘটে নেই একটুও কি রোদ?
এরপরেতেও সেলিমপুরের মাঠে
চাই-ই নাকি যাওয়া
ভিতরে একটুও নেই বোধ।
কাঁধ ঝাঁকিয়ে, চোখ পাকিয়ে
সওয়ার হলি ফের।

পাখীর ডানার গোড়ায় বড় ব্যথা।
তার শক্ত হল ঠোঁট।
ঠুকরে-ঠুকরে-ঠুকরে-ঠুকরে,
সামনে যা পায় সব ঠুকরে,
কাটিয়ে দিল ভোর।
তোর ঐ হাতে
তোর মাথাতে,
তোর ঐ গায়ে
তোর বাঁচাতে,
ঠোকরালো এমন
লোকসমাজে যাওয়াই বিষম দায়।

আহা-হা-হা
বেসাহারা,
দরদ-কানা পাখী –
ভাবলি হল ঢের।
ঐ লোকটা উনুন
ও পাখী
এবার পাবি টের।

বুধবার, ৪ মার্চ, ২০০৯

জানিনা


হতাশ জীবন, হতাশ কথা,
কানা, খোনা, গন্ধ, পচা
এইভাবে কি যায় গো
সাজা যায়?
সাজছে সময়, বন্ধ্যা সময়
হিসেব কিসের?
ঐ দেখা যায়
ফানুস পুড়ে সুজন উড়ে যায়।
মা মেরেছে কোলের ছেলে
বাবার পুলক ধর্ষকামে,
ভাই আগামীর মেয়ে-বাতিল
এই কখনো শিশির ধোয়া
ঘাসের সকাল দেয?
দেয় না যদি, সূর্য ওঠা কিসের তবে?
কিসের তবে
চড়ুই পাখীর ঠোঁটের আগায় কুটো?
দেয় না যদি,
হাপর-হাওয়া টানছে এ’বুক কেন?
কেন শষ্য আমার বুকে -
সমুদ্দুরের রক্তপ্রবাল এতই যদি ঝুটো?

বৃহস্পতিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০০৯

মা’র চাওয়া


বাবু,
তুই থাক ভ’রে তোর সব নিয়ে সুখে –
শুধু,
আমার স্নেহের সবটুকু তো’তে ঢালতে দে।
বাবু,
তোর চোখের তারায় তারারা জোনাকী
শুধু,
দূর থেকে তোর আলোমুখে চোখ চাইতে দে।
বাবু,
তোর ইচ্ছেগুলো তোরই আশেপাশে দোওয়ালীপোকা
শুধু,
তরঙ্গে ভাসা তোর স্বর কানে বইতে দে।
বাবু,
তোর অনুক্ষণ অন্য কোথাও ফেলুক নোঙর
শুধু
ঐ মুখ ঘিরে স্বপ্ন আমায় বুনতে দে।
বাবু,
সারা দিনমান পৃথিবীটা বড় একা হাঁটে -
শুধু,
তোর প্রাণে ওর জ্ঞানের বসত গড়তে দে।
বাবু,
আমার দোয়েল পাখীটা ঘুমোবে এবার-
শুধু,
দিনগুলো তোর পাখীটার গানে সাজিয়ে নে।

যা বুঝিলাম

নব্য নব্য কথা-কাব্য-কবিতা -
চার পেতে বসে থাকা,
হাওযায় হাত পেতে খোঁজা,
ফড়িং-এর মত মনঝুরি
এক থেকে অন্য থেকে
অন্যে, অন্যে, অন্যে-
লাফিয়ে পালায়।
তক্কে তক্কে থাকা
হটাত্ ঝাঁপিয়ে পড়ে ধরা -
এ’কথা, সে’কথা, ও’কথা
স-ব উদ্বেল, কদবেল, ডাম্বেল
কথকতা।
এ’সব ঠিক কেমন-কেমন তুমি জানো?
হ্রীং, টিং, ছট্, ফট্,
ঘ্যাচাং, ফুঃ-
সব
থতমত মত।

‘ইচ্ছে’ ডানা মেলে


এই যে আমার ‘ইচ্ছে’ এসে বললো কাঁধে,
ব্যস্
এটাই ঢের, এটাই অনেক,
বুক জুড়ালো বেশ।
য়ে মাটিতে শয্যা পাতি,
সেটা মাটির মত দেখতে মাটি নয়।
সোনার খাট, রূপোর কাঠির আবেশ দিয়ে ঘেরা
আমার ‘ইচ্ছে’ তাতে শোয়।
তাই তো একা, তাই তো এমন
‘ঘুম-ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা ঐ মাধবী রাত....’
গান গেযে যায় সে।
ভুল ভাঙানোর দায়টা ‘বিপদ’ তোমার।
খাতা-কলম গুছিয়ে বসার দায় ‘কষ্ট’ তোমার।
এতোলবেতোল সাত-সতেরো সুখের পিঠে সওয়ার
সব্বার -
মাড়িয়ে যাওযা ‘অহংকার’ সে তোমার।
‘দুঃখ’ তোমার,
তাই ‘দীর্ঘশ্বাস’ তোমার।
এবার তুমি খুশী কিনা বলো?
এরা তোমার বন্ধু কিনা বলো?
এদের ছাড়া ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাস’
যে খেলো, এলোমেলো,
তোমার বোধে তোলো।
‘ইচ্ছে’ ডানা মেলো।

চেষ্টা মোকাবিলার

ও সন্ধ্যামণি,
তুই এবার চ্যালেঞ্জের সামনে।
কর মোকাবিলা,
লেখ কিছু অন্য
এবং আন নামিয়ে ভোর।
মন পুড়িয়ে, বিপদ ছেঁচে,
সিন্দবাদের মতন ‘কষ্ট কষ্ট’ ঘাড়ে চেপে
ও’সব তোর সোজা।
ওরে জানি তো -
যা গেছে,
বিন্ধ্যাচলের মত অনড় তা’
তা’ অটল।
তবু তো তুই আকাশকে মুখ দেখতে দেখিস্
রবীন্দ্রসদনের ফেন্সিং,
বা
ঝিলের ধার ধরে হেঁটে যাওয়া স্বপ্ন-বোনাদের চোখে।
ঐ সুর্মা হাত পেতে তুই ধার করে নে মণি।
মেহেন্দী আঁকা ভরা হাতের আঁজলা থেকে নে।
চেলী, সানাই, সন্ধ্যাদীপের শিহরণ,
সাতলহরী হারের ঐতিহ্যগন্ধ তো আছে আজো।
নে না নে, ওখান থেকে নে।
তারপর-
ঝিলের জলে ডুব-ডুব খেলা খেলে
ভ্যাবলা-চোখো মাছেদের মতন তুই
ঝলঝলে, আলাভোলা, খ্যাপলা হয়ে যা।

সোমবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০০৯

ছেলে

জীবন অস্তব্যস্ত অস্থির নষ্ট করে
অধরা সে অন্তর ছুঁতে গেলে
ফেলে –
ধরে রাখা আহ্লাদের ঝুঁটি।
কীজানি তা কী করে হল বিপদ।
বিপদকে ‘বিনয়’ দেখেছিলে,
বিপদকে দেখেছিলে ‘বাঁধন’।
তা ছিল শনির বলয়,
ঘিরে থাকা নরম, শান্ত, হলুদ আলো।
অথবা
তা ছিল ভোরবেলাকার
প্রথম ছোঁয়া কাগজের প্রধান কটা লাইন।
গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে বিপদ
শীতসকালের কানঢাকা টুপির আড়ালে।
কাঙাল তুমি, হাভাত তুমি
ভাবলে –
কুয়াশায় আকাশ ক্লান্ত যদি,
বৃষ্টি হবে জোর।
আর বেড়াল থাবায় দিব্যি তুমি
উঠিয়ে নেবে ভোর।
বাঃ –
বৃষ্টি হল, মেঘও হল
ক্লান্ত আকাশ শ্বাস ছড়ালো,
কুটোর মত উড়িয়ে নিল ‘কোল’
তোমায় ভালবাসার, পূজ্যস্নেহ-র
তোমার শিশুবযস, কিশোর সকাল
স - ব
মাঠ ডিঙিযে, ঘাট ডিঙিযে
উধাও নিরুপায়।
এবার তুমি খুঁজছো –
খুঁজছো টিনের চালার তলায়,
খুঁজছো আমবাগান জুড়ে
খুঁজছো নদীর কিনার ধরে
রেখার মত ঘাসের জমির বর্ডার
যেমন মনের মধ্যে
‘ভালবেসে সখী নিভৃত যতনে...........'

বাঁচাকে দাও বিপদ
আর জীবন লালু-ভুলু
এই হিসেব কী মেলে?
হযতো মেলে,
হযতো তুমি সেই কারণেই ‘ছেলে।‘


আমিও পারি

‘তার বিদায়বেলার মালাখানি
আমার গলে দোলে
বুকের পরে ক্ষণে-ক্ষণে রে.....’

তোমার এ’ গান ভালবেসেছি এতই
এতই টেনেছি কাছে –
বাস্তব বন্দুক বোধহয
ফুটো করে দিল বুক-
তাই -

চুঁইয়ে পড়া ব্যাথায় গাঁথা মালা
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরছে গা।
ঘেন্না ঘেন্না কেন্নো যেন।
দম নেবার সাধ্যি নেই.
দম দিতে বাঁচছি অথচ।
আমার ফুঁ-এর হল্কা এখন তাতাপোডা
তা’তেও হবে বেশ।
কারণ -
নষ্ট সময় পেরোতে গিয়ে,
আত্মদম খালি করেছে সে।
কি মন্দ কিংবা ভাল
তার হিসেব দিব্য বোঝে
পেলে খাদ্য ভাল ভাল।

দমহারানো নিত্যনতুন
সকালবিহীন অন্তর্লোক
কি দিচ্ছে?
দিচ্ছে অসুখ গাঢ়।
লগি ঠেলে এরপরও কি
পার হওয়া যায় নদী?
যে নদীতে হাঙর-কুমীর-কামট?

যাই বয়ে যাই তরী,
জানি পার হওয়া যায় যদি,
হাঙর-কুমীর-কামটদেরও
খাদ্য করতে পারি।