মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০০৯

‘মেঘ’ ও ‘বুলবুল’-এর স্ক্র্যাপকাব্য

‘মেঘ’- নিজনাম না জানানো এক সৃষ্টিমুখর কন্যা।
‘বুলবুল’- নাম জানানো অখ্যাত এক সৃজনপ্রেমী কন্যা।


‘মেঘ’ 16.03.09
জলে ভিজে এনেছি নিজের একমুঠি মেঘ,
সে তোমার জন্য।

বলো তো আমার সঙ্গে,
এভাবে আমার সঙ্গে উড়ে খুশি?
তুমি খুশি? বলো, খুশি?
………………….
‘বুলবুল’ 16.03.09

মেঘের গায়ে
জড়িয়ে আছে
ভোরবেলাকার আলোক।
ভেজা-ভেজা তার চোখ
শিশিরের মত মৃদু।
জুঁই-এর গন্ধ মাখা
তার আলাপন কথা
দূরের থেকে জানায়,
‘আয় উড়াল নিবি আয়।‘
বুলবুলেরও আকাশটাই তো বাড়ী
বুলবুলেরও মেঘজড়ানো বিকেল।
বুলবুল তাই মেঘের আমণ্ত্রণে
বৃষ্টিধোযা সকাল খুঁজতে এলেম।
…………………………..
‘মেঘ’ 17.03.09
মেঘের টানে আকাশে আজ ভাসিয়ে রঙিন ভেলা

যাচ্ছো বুঝি মেঘের দেশে আমায় করে হেলা!
…………………….
‘বুলবুল’ 09.04.09

হায় রে মেঘ,
কোথায় গেলি উড়ে?
বাদল আকাশ নয়
যে যাবি যক্ষপুরী।
জানি, ও মেঘ জানি
তোর ব্যথা বক্ষ জুড়ে।
বুলবুলি ঐ শীষ দিচ্ছে ডালে
তার ঠোঁটের আগায় ঘর বাঁধবার কুটো।
পাখীর ডানায় দেখ
ঐ নামছে ভোর
তার তাপের খরা ভুলে
নে রুপালী রং তুলে।
তোর জুড়াবে ঠিক বুক
তোর মন ওঠাবেই সুখ।
…………………..
‘মেঘ’ 12.04.09
বাহ্ রে বাহ !
বুলবুলের ডাকে চুপ থাকি আমি,
কি করে? এই তো আমি
এই তো আমি -
এসেছি যে।
…........
‘বুলবুল’ 15.04.09 ১৪১৬-য় পাঠানো নববর্ষের শুভেচ্ছা

আলতো আলোর সুখ সাজিয়ে
নামছে নতুন দিনের মাঝে
ভোর, আগামী দিন।
তোমার উন্মুখ মন ভরুক
ঘিরুক আদর অনুক্ষণ
খোলো দোর, বাজছে বীন।
……………………..
‘মেঘ’ 28.04.09
স্বপ্নে পেরোচ্ছি ভিজে আলপথ,

ঘাসে ডুবিয়ে পা হেঁটে যাচ্ছি করতোয়ার দিকে,
কত আর পোড়াবে, কতটাই পারবে বলো।
নদীর ধারে আমি এসে দাঁড়ালে
তুমি কিছুতেই না এসে পারবে কি
বুলবুল?
………….
‘বুলবুল’28.04.09

পোড়াবার মত বারুদ ভিতরে মজুদ
এ’ বারুদে ঝাঁজ বিচ্ছিরী তাতাপোড়া।
কিন্তু নদীর জল বা আলের পথে
যে সাজে সেজেছো ‘মেঘ’ কবিতার সাথে,
পেরোবে কি করে ‘বুলবুল’ তা জানেনা।
কুর্নিশ-গান পারলো কি পৌঁছেতে?

Megh আমাকে 29.04.09
কাল শুনেছিলাম মেঘের কলকাতা পৌঁছাবার সংবাদ

আজ এখনো কিছু জানলাম না।
কাল শুনেছিলাম আজ কলকাতা বৃষ্টিস্নান করবে,
শুনে আনন্দ হলো,
ভাবলাম কলকাতা যদি বৃষ্টিতে ভেজে
আমরা না হয় তার কিছুটা ঠান্ডা হাওয়া অন্তত পাবো।
সেই বা কম কি।
আজ কতটা কি হলো কিছুই জানি না।
মেঘ কিম্বা বৃষ্টি,বৃষ্টি কিম্বা মেঘ
কে কতটা ছলচাতুরী শিখেছে ভেবে পাইনা!
29.04.09 Bulbul to Megh
আমরা বোধহয় ছলচাতুরী বুঝি,
চালাকীতেই চলি,
এই সময়ের মাপে।
তাই উধাও স-ব, সব্বাই।
তাই আসবো বলেও বৃষ্টি আসেনা।
লালচে রঙা সম্ভাবনা জাগিয়ে,
উড়ে যায় মেঘ অজানা দিশায়।
আশার শিখাকেও ফুঁ দিয়ে যায় নিভিয়ে।
আমাদের বুকে ঢেকেঢুকে রাখা
গোপন-গোপন নীল বদমাইশী
আর ছলনা
ওরা কি টের পেয়ে গেছে?
‘উতল-ধারা বাদল ঝরে
সকল বেলা একা ঘরে।.......’
এ’ গানে ভাসবার আরাম কি
সহজে পাব না আমরা
‘মেঘ’?
Megh আমাকে ৩০.০৪.০৯
যন্ত্রজীবন কাটাবে, যন্ত্রের মতো থাকবে

গোলা বারুদ বুকে পুরে সংসার ধর্ম করবে
ভালোবাসবে মেপে মেপে-
দিনান্তে হিসেব কষবে কতটা লাভ ক্ষতি হলো প্রাত্যহিকতায়
সাথে গানে ভাসবার আরাম চাইবে
বৃষ্টিতে ভিজতে চাইবে
আবেগ নিয়ে ভালোবাসবে
কান্নায় ভাসবে-

সে ও কি হয় !
গলা চিপে ধরবে ওরা
শ্বাসরোধ করে মারবে
এক চিলতে আলো
তোমার দুচোখে পড়তে দেবেনা।

হায়রে ভালো থাকা
হায় রে নগর সভ্যতা!
বুলবুলের কাছে মেঘের পাঠানো বার্তায়
বিশ্বের কোথাও কিছু আসবে যাবে না।
৩০.০৪.০৯ Bulbul to Megh
না আসুক ‘মেঘ’ কিছু কারুর,
না ভাসুক ভেলা নদীজলে।
এই অকারণ কথা তবু
নাচবে তাথৈ হৃদিতলে।

ভুল হয়ে গেছে জীবনে অনেক
কোথায় পালাবো তা ফেলে?
মেনেই নিয়েছি অসুখের সাথে
কাটাবো এ’দিন ধুলো খেলে।

যে নগর বাঁচে অনিশ্চয়ের,
অবিশ্বাসের গান গলে'
ছাড়তে পারেনা ‘বুলবুল’ তাকে
আদরে বেড়েছে তারই কোলে।
>>>>>>>>>>>>>>>>
……………………………

২টি মন্তব্য:

  1. মেঘ বুলবুল সংবাদ উপভোগ করলাম।

    উত্তরমুছুন
  2. আমি খুঁজছিলাম মেঘের ওপর ছবি, সার্চ দিতেই এসে গেল মেঘ-বুলবুল স্ক্র্যাপবাক্য। ভালই লাগল।

    উত্তরমুছুন